মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকা নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুসরণ করে সাধারণ মানুষকে জনসমাগম ও গণপরিবহন প্রত্যাহার এবং ও ঘর থেকে বের না হওয়ার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সহ বিশ্বে ভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় ২৪ ঘণ্টাই গৃহবন্দী হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ জনগণ। যেকারণে সকলেই ইন্টারনেটের উপর ভরসা করে বাড়ি থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারছেন।
এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে থাকা অধিকাংশ মানুষ অবসর সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব-নেটফ্লিক্স এর মতো ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় ইন্টারনেট এনালাইজ সংস্থা ‘ওকলা’ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে ইন্টারনেট ট্রাফিক, এবং খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ।
ওকলার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ভিডিও ডাউনলোড, ওয়েব সারভিং ও ইমেইল, ডকুমেন্ট আদান-প্রদান চাহিদা বাড়তে থাকায় বিশ্বজুড়ে ৪.৯ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ইন্টারনেট স্পীড। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা প্রাদুর্ভাবে ইন্টারনেট গতি পূর্বের তুলনায় অর্ধেকে নামে এসেছে। ওকলা জানিয়েছ, আরও কয়েক সপ্তাহ এমনই চলতে থাকলে বিশ্বজুড়েই কিছুটা সংকট দেখা দিতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারের। যদিও এতে ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে না, তবে গ্লোবালি ইউজারদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছুটা বিগ্ন ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথের চাপ সামলানোর সার্ভার ক্যাপেবলিটি নিয়ে শঙ্কা থাকায় বিশ্বজুড়ে ইউটিউবের পাশাপাশি মুভি/টিভি সিরিজ স্ট্রিমিং নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, ডিজনি, হুলু, প্রাইম ভিডিও ও অ্যাপল প্লাস সহ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামও তাদের প্লাটফর্মের ভিডিও কোয়ালিটি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুতরাং অপেক্ষা করূন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ইন-শা-আল্লাহ ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যাগুলো অটোমেটিক সমাধান হয়ে যাবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ইন-শা-আল্লাহ ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যাগুলো অটোমেটিক সমাধান হয়ে যাবে।